সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে খ্যাতি তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান নদীর। নদ নদী এবং এদের শাখানদী ও উপনদী জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বুক জুড়ে আর এইসব নদী-বিধৌত পলি, বালি, কাঁকর প্রভৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সবুজ বাংলা অববাহিকা। বাঙালির জীবন-যাত্রায় আর সংস্কৃতিতে এইসব নদ-নদীর প্রভাব অপরিসীম। এসকল নদীগুলো বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে অবিরামভাবে প্রবাহিত হচ্ছে আর বাংলাদেশকে রূপ দিয়েছে চিরসবুজ রূপে।
সবারই একটা সুপ্ত স্বপ্ন থাকে; আমার যদি ছোট্ট একটা নদীর পাড়ে, ছোট্ট একটা ঘর থাকতো। সকালে নদীর পাড়ে সবুজ ঘাসের বিছানায় হাঁটবো, বুক ভরে নেবো শীতল বাতাস, দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটবো চোখ দুখানি লাল না হওয়া পর্যন্ত, বিকেলে নদীর পাড়ে আরাম কেদারায় বসে চা হাতে বই পড়বো আর গান শুনবো কিংবা পাখিদের উড়া যাওয়া দেখবো। রাতে নদী থেকে আসা ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে, বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে ঘুমিয়ে যাবো।
এই স্বপ্ন পুরোপুরি পূর্ণ না হলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর প্রকৃতি ও এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে কিংবা এই যান্ত্রিক শহরের কোলাহল থেকে নিস্তার পেতে প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে কার না মন চাই? সাথে যদি সংগী হিসেবে পাওয়া যায় ঐতিহ্যবাহী কোন বাহন?
সফরসঙ্গী হিসেবে আপনজনকে পাশে নিয়ে চলুন প্যাডেল স্টিমারে (paddle streamer) চেপে ঢাকা থেকে খুলনার পথে। যেতে যেতে মুগ্ধ হয়ে দেখবো জেলেদের মাছ ধরা, নানান রঙের ও আকারের নৌকার সারী কিংবা নদীর দু’পাশ জুড়ে সবুজের গালিচা বিছানো বিস্তৃত ধানক্ষেত। মুগ্ধতায় হারিয়ে যাবো পূর্ণিমার চোখ ধাঁধানো আলোয়। চাঁদের আলোর সাথে নদীর জলের মিলেমিশে এক হওয়ার আলোয় হারিয়ে যাবো অন্যরকম ভাললাগাই। স্মৃতি পাতায় ঢুঁ মেরে জানবেন আপনার মতোও দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় কবি নজরুল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রূপের কবি জীবনানন্দ, উপমহাদেশের নেতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধী এই স্টিমারে গিয়েছিলেন দক্ষিণ বাংলায়।
প্যাডেল বা রকেট স্টিমার
বড় বড় দুটি প্যাডেল দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় বলে এর নাম প্যাডেল স্টিমার। প্রায় শতবর্ষী পুরনো শুরুর দিকে স্টিমারগুলো কয়লা দ্বারা উৎপন্ন স্টিমে চলতো বলে এর নাম স্টিমার। কিন্তু এখন আর স্টিমে চলে না। আশির দশকের শুরুতে এগুলোকে কয়লার প্যাডেল স্টিমার থেকে ডিজেল ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করা হয়। এখন চলে ডিজেলে, তবুও এর নাম রয়ে গেছে স্টিমার। রকেট স্টিমার কেন বলা হয় তার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। সম্ভবত ওই সময়ে সবচেয়ে দ্রুতগতির নৌযান ছিল বলেই এর অন্য নাম রকেট স্টিমার।
ইতিহাস
সারা বিশ্বে হাতে গোনা যে কটি প্যাডেল স্টিমার আছে তার মধ্যে পিএস মাসহুদ (১৯২৮), পিএস অস্ট্রিচ (১৯২৯), পিএস লেপচা (১৯৩৮), পিএস টার্ন (১৯৫০) এবং এমভি শেলা (১৯৫১) এই পাঁচটি আছে বাংলাদেশে। প্রায় শত বছরের পুরোনো সরকারী রকেট সার্ভিসের আওতায় এখনো চারটি স্টিমার চলছে পাবলিক টান্সপোর্ট হিসেবে, যা আর পৃথিবীর কোথাও এভাবে চলছেনা।
লোকমুখে শোনা, সেসময় ইংল্যান্ডের “রিভার আর স্টিম ন্যাভিগেশন” কোম্পানির বিশাল বিশাল সব স্টিমার চলাচল করত এদেশে। একসময় এই বাহনটিই ঢাকা-বরিশাল, বরিশাল-গোয়ালন্দ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল। তখনকার মানুষ এ স্টিমারে করে গোয়ালন্দ গিয়ে ট্রেনে কলকাতা যেত।নদীবেষ্টিত এলাকা বলে বরিশালে কোনো রেলপথ নেই। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সেই আমলে বরিশালে রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন “রিভার আর স্টিম ন্যাভিগেশন” কোম্পানির লোকেরা ইংল্যান্ড থেকে কলকাঠি নেড়েছিল, যাতে বরিশালে রেলপথ না আসতে পারে। কারণ বরিশালে রেলপথ এলেই তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। সেই থেকে আজ পর্যন্তও সারাদেশের সাথে বরিশালে রেল যোগাযোগ নেই।
এই ভ্রমণে দেখবেন
শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর এই একটা সফরে গিয়েই বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নদ-নদীর বেশ কয়েকটিকে ছুঁয়ে যাওয়া সম্ভব অনুভব করা সম্ভব প্রতিটি নদীর স্বকীয়তা। বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, মেঘনা, ডাকাতিয়া, কীর্তনখোলা, বাঁশখালি, গাবখান নদী, সন্ধ্যা নদী, কালীগঙ্গা, কাতছা নদী, বালেশ্বর এবং পাঙ্গুচি- অন্ততপক্ষে এই তেরোটি নদীর বুক চিড়েই ঢাকা থেকে মোড়েলগঞ্জ পৌঁছায় প্যাডেল স্টিমার।
কিছুদিন আগেও খুলনা পর্যন্ত যেতো এই রকেট স্টিমার৷ প্রায় সাতাশ ঘণ্টার সফর ছিল সেটা। নাব্যতা সংকটের কারণে রকেট স্টিমার এখন আর খুলনা পর্যন্ত না গেলেও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত যায়৷ মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত এই প্যাডেল স্টিমারে যেতে প্রায় বিশ ঘণ্টা সময় লাগে। মানে হলে প্রায় ২০ ঘন্টা যাবত আপনার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবে এই প্যাডেল স্টিমার বা রকেট স্টিমার।
এই ভ্রমণে দেখবেন দক্ষিণ বাংলার মানুষ ও প্রকৃতি, তাদের নদীকেন্দ্রিক জীবন আর দেখবেন নদী। এই ভ্রমণে আপনি ছুয়ে যাবেন নদীগুলোকে। পাশ কাটাবেন বা ছুঁয়ে যাবেন অনেকগুলো জেলা। এক ভ্রমণে এত নদী আর জেলা দেখার সুযোগ আর কোন ভ্রমণে আছে কি?
ঐতিহ্যময় বাহনে নিরাপদ নৌ ভ্রমণ, সাথে সুস্বাদু খাবার ও চমৎকার সার্ভিস পাওয়া যায়, কালের সাক্ষী এই স্টিমার গুলোতে। সফর শুরু হতে পারে কোনো এক সন্ধ্যায়। ঠিক সাড়ে ৬টায় টিকিট কেটে স্টিমারে উঠে বসতে পারেন। ভু-উ-উ শব্দ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ শহরকে পাশ কাটিয়ে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিয়ে রকেট যখন মেঘনায় পড়বে, তখন রাত ৮-৯টা বেজে যাবে। সোনায় সোহাগা হবে যদি রাতটা হয় যদি চাঁদনী রাত। জোৎস্নায় আলোকিত হবে চারপাশ, মেঘনার গভীর জলে চাঁদের আলোর খেলা জমে উঠবে।
মনমুগ্ধকর দৃশ্য হলো- নদীতে ইলিশ ধরার দৃশ্য। প্রচণ্ড ঢেউয়ে জেলেদের নৌকা যেন ডুবুডুবু করছে। ছোট ছোট নৌকাগুলোতে নিভু নিভু করে বাতি জ্বলছে। নদীর জলে আলোর খেলা দেখতে দেখতেই রাত সাড়ে ১১টার সময় স্টিমার চাঁদপুর ঘাটে ভিড়বে। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে দিয়ে রকেট পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থল অতিক্রম করবে। একটা সময় চারদিকে অথৈ জলরাশি আর চাঁদের আলো ছাড়া কিছুই দেখবেন না।
রাত গভীর সাথে সাথেই মানুষের আনাগোনা কমতে শুরু করেছে। কেবিনের মানুষগুলো শুয়ে পড়েছে কেবিনের বিছানায়, ডেকের মানুষগুলো বিছিয়েছে সঙ্গে করে নিয়ে আসা চাদর। সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর এলিয়ে দিয়েছে নব্বই বছর পুরনো ডেকে। শুধু জেগে আছে, প্রাচীনতার মায়া খুঁজে বেড়ানো সফরকারীরা।
ঘুম দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠার চেষ্টা করতে হবে ভোর দেখার জন্য। ভোরের প্রথম সূর্য দেখে মনের অজান্তে বলে বসবেন এত চমৎকার ভোর খুব কমই এসেছে আমার জীবনে।
সকালে উঠেই দেখবেন রকেট বরিশাল নোঙর করে আছে। এখান থেকে সকাল ৬টায় আবার রওনা দেয়। ঘণ্টা দেড়েক চলার পরেই আরেকটি স্টপেজ নলসিটি। এভাবেই এক ঘণ্টা পরপর একেকটি স্টপেজ আছে, খালাসিদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। একটু পরেই রকেট গাবখান ক্যানেলে প্রবেশ করে। ছোট্ট একটি ক্যানেল, দুই পাশে সারি সারি গাছপালা, সে অন্য রকম সৌন্দর্য। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌঁছে যাবেন পিরোজপুরের হুলারহাট। এখানে বেশ কিছুটা সময় থাকার পর আবার রওনা দেবে দক্ষিণের পথে। এভাবে দুপুর দেড়টার দিকে পৌঁছাবে বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে।
এক নজরে প্যাডেল স্টিমার বা রকেট স্টিমার
রকেট স্টিমারে প্রথম শ্রেণীর ১২টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন আছে। প্রতিটি কেবিনে দু’টি করে বেড। কেবিনের সঙ্গে নিজস্ব বারান্দা।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিট বিক্রি হয় মতিঝিল থেকে আর ডেকে বসে যাওয়ার জন্য তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট মেলে স্টিমারেই। তৃতীয় শ্রেণীতে ডেকের উপর যাত্রীদের নিজস্ব বিছানা পেতে বসতে হয়।
ভ্রমণ রুট
ঢাকা – চাঁদপুর – বরিশাল – ঝালকাঠি – কাউখালী – হুলারহাট – চরখালী – বড় মাছুয়া (মঠবাড়িয়া) – সন্ন্যাসী – মোড়লগঞ্জ ।
শুধু প্রতি বুধবার রকেট মংলা হয়ে খুলনা পর্যন্ত যায় ।
ঢাকার সদরঘাট থেকে এই স্ট্রিমার ছাড়ে প্রতি শনিবার, রোববার, মঙ্গলবার এবং বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন) রকেট সার্ভিস এ প্যাডেল স্টীমার গুলো ছেড়ে যায় ঢাকা নদী বন্দর এর ১৬ নং পল্টুন থেকে।অন্য দু দিন এম ভি বাঙালি ও এম ভি মধুমতি জাহাজ ছেড়ে যায়।
ঢাকা থেকে প্রতি শুক্রবার সার্ভিসটি বন্ধ থাকে । মোড়লগঞ্জ / খুলনা থেকে প্রতি রবিবার সার্ভিসটি বন্ধ থাকে ।
যাত্রী ভাড়া
জেনে রাখা ভাল
- রকেট স্টিমারের টিকিট বাদামতলী ঘাট থেকে পাওয়া গেলেও লঞ্চ ছাড়ে লালকুঠি ঘাট থেকে।
- বিদেশি টুরিস্টদের কাছে এই সার্ভিস টি বেশ জনপ্রিয়,অনেক টুরিস্ট আছেন যারা শুধু এই রকেট স্টিমারে ভ্রমণ করতেই বাংলাদেশে আসেন। তাই তাদের আনকমফোর্টেবল লাগে, এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেহেতু ভ্রমণটি প্রায় ২০ ঘণ্টার, তাই যাদের মোশন সিকনেস আছে, তারা অবশ্যই বমির ঔষধ সাথে রাখবেন।
- এক ফাঁকে বাটলারকে ডেকে রাতের খাবারের অর্ডার করুন। সাধারণত দুই ধরনের মেন্যু থাকে। ভুনা খিচুড়ি, চিকেন, ডিমসহ একটি মেন্যু আর সাদা ভাত-চিকেন আর দুটি ভর্তাসহ আরেকটি মেন্যু।
- অপ্রয়োজনীয় জিনিস নদীতে ফেলে নদীকে দূষিত করবেন না। দয়া করে নির্ধারিত স্থানে ফেলবেন। প্লাস্টিক তো ভুলেও নদীতে ফেলা যাবে না।
- সব লঞ্চের ছাদেই সাধারণ যাত্রীদের যাওয়ার সুবিধা থাকলেও, রকেট স্টিমারের ছাদে বসে রাতের নদী উপভোগ করার উপায় নেই৷ রকেটের ছাদ মানুষজন চলাচলের উপযোগী ছাদ নয়। ছোট একটা ঘর, তাতে বসে রকেট স্টিমারের কাপ্তান চালনা করেন।
- ইচ্ছা থাকলে ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে আসতে পারেন। মোড়লগঞ্জে নেমে বাসে করে যেতে হবে বাগেরহাট। সময় লাগবে প্রায় এক ঘণ্টা লাগবে। এরপর ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে বাসে করে ঢাকায়।
- ঢাকা থেকে প্রতি শুক্রবার সার্ভিসটি বন্ধ থাকে ।
- মোড়লগঞ্জ / খুলনা থেকে প্রতি রবিবার সার্ভিসটি বন্ধ থাকে ।
- ঢাকা থেকে ছাড়ে
সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে
রাত ১১:০০ চাঁদপুর ছাড়ে।
সকাল ৬:০০ বরিশাল ছাড়ে।
সকাল ৮:০০ ঝালকাঠি ছাড়ে।
সকাল ৯:৩০ কাউখালী ছাড়ে।
বেলা ১০:০০ হুলারহাট ছাড়ে।
বেলা ১১:৩০ চরখালি ছাড়ে।
দুপুর ১:০০ মাছুয়া ছাড়ে।
দুপুর ২:০০ সন্যাসী ছাড়ে।
বেলা ৩:০০ মোড়লগঞ্জ ছাড়ে।
সন্ধ্যা ৬:০০ মোংলা ছাড়ে।
রাত ৮:৩০ খুলনা পৌঁছে। - খুলনা থেকে ছাড়ে
ভোর ২:৪৫ মিনিটে
সকাল ৬:০০ মংলা ছাড়ে।
সকাল ৯:৩০ মোড়লগঞ্জ ছাড়ে।
সকাল ১০:০০ সন্যাসী ছাড়ে।
বেলা ১১:০০ মাছুয়া ছাড়ে।
দুপুর ১:০০ চরখালি ছাড়ে।
দুপুর ২:০০ হুলারহাট ছাড়ে।
দুপুর ২:৩০ কাউখালী ছাড়ে।
বিকেল ৪:০০ ঝালকাঠি ছাড়ে।
সন্ধ্যা ৬:৩০ বরিশাল ছাড়ে।
রাত ১:০০ চাদপুর ছাড়ে।
সকাল ৬:০০ ঢাকা পৌঁছে।
রকেট স্টিমারগুলো পুরাতন হলেও অত্যন্ত নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য। গত ৯০ বছরে এই স্টিমারগুলো বড় ধরণের কোনো দুর্ঘটনায় পড়েনি। হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্রাচীন বাহনগুলো কোন একদিন। ইচ্ছা থাকলেও এই ঐতিহ্যের স্বাদ নেওয়া যাবে না। তাই সময় থাকতেই বেরিয়ে পড়ুন একটা দিন হাতে নিয়ে, ঐতিহ্য ও ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্যাডেল স্টিমার ভ্রমণে।নদীমাতৃক বাংলাদেশকে আরেকবার দেখতে আর পানিতে ভেজা অন্যরকম একটা ট্রিপ দিতে ঘুরে আসুন ঐতিহ্যবাহী এই বাহনে।