টাঙ্গুয়ার হাওর | সুনামগঞ্জ
নীলাদ্রি লেক | সুনামগঞ্জ
পরিযায়ী পাখি | টাঙ্গুয়ার হাওর | সুনামগঞ্জ
চারপাশে অথৈ সমুদ্রের মতো পানি, সে পানিতে নৌকায় ভাসতে ভাসতে উঁচু পাহাড় চোখে পড়ে চোখের সামনে। ডান থেকে বাঁয়ে চলে গেছে এই পাহাড়ের দল। পাহাড়ের উপরে ভাসছে মেঘের দল। মাথার উপর, ডানে-বাঁয়ে দিগন্তবিস্তৃত নীল আকাশ। একটু পরপর পানিতে ডুবে থাকা গাছের মাথা দেখা যায়, নিজেদের মধ্য লুকোচুরি খেলছে হাওরের পানিতে ডুব দিয়ে। প্রবল বাতাসে ঢেউয়ের মাঝেই মাঝি বৈঠা বেয়ে ডিঙ্গি নৌকায় করে যাচ্ছে তার আপন গন্তব্য। পাশ দিয়ে বড় একটা ট্রলারে ছুটে চলছি প্রকৃতিকে একেবারে আপন করে পাবো বলে। সবুজ গাছ আর পাহাড়ের সারী, নীল পানি আর আকাশ, চোখের সামনে পাহাড়ের উপর সাদা-কালো মেঘের সৃষ্টি আর চারপাশের গ্রামে বসবাস করা মানুষের জীবনযাপন কাছ থেকে দেখাটা আমার জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা। সবুজ আর নীল যেখানে একাকার হয়ে মিশে গেছে, ভয়ংকর সুন্দর নামে যে ব্যাপারটার সেটার দেখা পাওয়া যায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের টাঙ্গুয়ার হাওরে (Tanguar Haor)।
পানিতে লুটিয়ে পরে মেঘ আর নীল আকাশ
কখনো জমাট-আবার কখনো হালকা বাতাসে দলছুট হয়ে পাগলা ঘোড়ার মত উত্তরে দাঁড়ানো আকাশছোঁয়া বিশাল খাসিয়া পাহাড়ে গিয়ে আঁছড়ে পড়ছে। নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা। আর তারই প্রতিবিম্ব সুনামগঞ্জের বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওরের নীল পানীতে যখন ফুটে উঠে তখন বিস্মিত হতে হয় যে কাউকেই।
হাওরের হিজল, বল্লা, ছালিয়া, নলখাগড়া আর নানা প্রজাতির বনজ ও জলজ প্রাণী হাওরের সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে। এই রূপসুধা আহরণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ছুটে আসেন প্রতিদিন হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী।
অবস্থান
বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর (Tanguar Haor) ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝর্ণা (waterfalls) এসে মিশেছে এই হাওরে। বিশাল এই জলাভূমিতে প্রকৃতি বেড়ে উঠেছে আপন খেয়ালে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ১৮ মৌজায়, ৫১টি জলমহালের সমন্বয়ে নয় হাজার ৭২৭ হেক্টর অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠা টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলাভূমি।
বর্তমানে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি এবং মোট আয়তন ৬,৯১২.২০ একর। তবে বর্ষাকালে নলখাগড়া বন, হিজল করচ বনসহ সমগ্র হাওরটির আয়তন দাড়ায় প্রায় ২০.০০০ একর। সারিসারি হিজল শোভিত, পাখিদের কলকাকলি সদা মুখরিত টাংঙ্গুয়ার হাওর। এটি মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম।
জীববৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যের কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরের (Tanguar Haor) সুনাম শুধু সুনামগঞ্জ বা বাংলাদেশে নয়, বাইরেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মিঠা পানির এ হাওরকে বলা হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার অঞ্চল। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার স্থান’ (Ramsar site) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সুন্দরবনকে ধরা হয় প্রথম।
জীববৈচিত্র্য
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। প্রতিবছর শীতের শুরুতে (নভেম্বর মাসের শুরুতেই) সুদূর সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপালসহ বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসে অতিথি পাখি। শীতের তীব্রতা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে নানা প্রজাতির এসব অতিথি পাখি আসে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায়। সেখানে তারা গড়ে তোলে ক্ষণস্থায়ী আবাস। এরমধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর অন্যতম।
পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগল (Pallas’s Fish Eagle), যা কুড়া ঈগল নামে পরিচিত আমাদের দেশে, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক, রাঙ্গামুড়ি (Red-crested pochard), ল্যাঞ্জা হাঁস (Northern Pintail) খুন্তে হাঁস (shoveler), নীলমাথা হাঁস (Mallard), পিয়াং হাঁস (Gadwall), টিকিহাঁস (Tufted Duck), ধলা বালিহাঁস (Cotton pygmy goose), পান মুরগি, সরালি, রাজসরালি, পাতিমাছরাঙা, পাকড়া মাছরাঙা, চখাচখি, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খচিল, পাতিকুটসহ নানা প্রজাতির পাখির নিয়মিত বিচরণ এই হাওরে।
এছাড়া আছে বিপন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি কুড়ুল (নমুনাসংখ্যা ১০০টির মতো)
২০১১’র পাখিশুমারীতে এই হাওরে চটাইন্নার বিল ও তার খাল, রোয়া বিল, লেচুয়ামারা বিল, রুপাবই বিল, হাতির গাতা বিল, বেরবেরিয়া বিল, বাইল্লার ডুবি, তেকুন্না ও আন্না বিলে প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮,৮৭৬টি পাখি গণনা করা হয়। এর পাশাপাশি এই শুমারিতে নজরে আসে কুট, পানকৌড়ি, পিয়ংহাস, মরিচা ভুতিহাঁস, সাধারণ ভুতিহাঁস, পান্তামুখী বা শোভেলার (shoveler), লালচে মাথা ভুতিহাঁস, লালশির, নীলশির, পাতিহাঁস, লেনজা, ডুবুরি পাখির।
এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর বাস, এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর।
সাধারণ হিসাবে শীত মৌসুমের প্রতিটিতে ২০/২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিল বলে অনুমান করা হয়। কোন কোন স্থানে কিলোমিটারের বেশী এলাকা জুড়ে শুধু পাখিদের কিচিরমিচির আর ভেসে থাকতে দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর (Tanguar Haor) মাছ-পাখী এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী।
মৎস্যসম্পদ
বাংলাদেশের অন্যতম মিঠাপানির মাদার ফিশারিজ হচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওর। স্থানীয়ভাবে ছয়কুড়ি কান্দা আর নয় কুড়ি বিল নামে পরিচিত এই বিশাল জলাভূমি শুধু পাখি নয়, মাছের জন্যও বিখ্যাত। টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। তারমধ্য এ হাওরের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় মহাশোলের কথা। মাছটির দুটো প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Tortor এবং Torputitora, টাঙ্গুয়ার হাওরে দুই প্রজাতিই পাওয়া যেত। এ ছাড়া রয়েছে চিতল, গাং বাইম, কালবাউশ, তারা বাইম, বাইম, গুতুম, গুলশা, টেংরা, তিতনা, গইন্না, রুই, কাতল, বোয়ালসহ আরো নানা প্রজাতির দেশি মাছ।
টাঙ্গুয়ার হাওর সংরক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা। টাঙ্গুয়ার হাওরে মা মাছ নিরাপদে ডিম ছাড়বে আর বর্ষাকালে এই মাছগুলো ছড়িয়ে পড়বে দেশের অন্যান্য নদীনালা ও খালবিলে। টাঙ্গুয়ার হাওরের ইজারা প্রথা বিলোপ করে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয় মূলত এই কারনে।
উদ্ভিদবৈচিত্র্য
টাঙ্গুয়ার হাওরের চারপাশে দেখা যায় সারিসারি হিজলগাছ। মূল হাওরে প্রবেশ করলে হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচের দিকে তাকালে দেখা মিলবে হরেক রকম লতাপাতা জাতীয় জলজ উদ্ভিদ। দেখে মনে হবে পানির নিচে অপরূপ সবুজের স্বর্গরাজ্য। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়। এ ছাড়াও বরুণ, নলখাগড়া, দুধিলতা, পানিফল, নীল শাপলা, শোলা, হেলঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দু’শ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী রয়েছে এ প্রতিবেশ অঞ্চলে।
যা যা দেখবেন
❑ টাঙ্গুয়ার হাওড় (Tanguar Haor)
❑ বারিক্কা টিলা
❑ নিলাদ্রী লেক
❑ জাদুকাটা নদী
❑ ট্যাকের ঘাট
❑ শিমুল বাগান
❑ হাছন রাজার বাড়ি এবং সমাধি
❑ নারায়ন তলা
❑ ইন্ডিয়ার বর্ডার বাজার
❑ শাহ আরেফিনের মাজার
❑ গৈরারং জমিদার বাড়ি
❑ আব্দুল করিমের বাড়ি
বর্ষা নাকি শীত
যতদূর চোখ যাচ্ছে স্বচ্ছ পানির ধারা। আকাশ আর পানির মিলনের মাঝে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। মাঝে মাঝে পানি এত স্বচ্ছ যে প্রায় ২০ ফুট গভীরের জলজ উদ্ভিদ খুব পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ছিল ছোট ছোট লাল শাপলা।
প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যার পানি হাওরের পানির সাথে মিশে রাস্তা ডুবে যায়। এর সাথে রাস্তার পাশের বড় বড় গাছপালা মিলে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এমনকি শীতকালেও এই অঞ্চলের রূপ এরকম থাকে না।
বর্ষা আর শীত- দুই মৌসুমে নানা রূপের দেখা মেলে টাঙ্গুয়ার হাওরে। তবে শীতের বাড়তি আকর্ষণ অতিথি বা পরিযায়ী পাখি। সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, নেপালসহ শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজারো প্রজাতির অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে এসে নামে বিশাল টাঙ্গয়ার হাওরের বুকে। এসব পাখির কলকাকলি, কিচিরমিচির ধ্বনি, হাজার হাজার পাখির ঝাঁক নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো, হাওরের নীল জলে বুকে ডুব দিয়ে মাছ শিকারের চিত্র কাছ থেকে দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যায়।
নৌকার পাটাতনে বসে কোন শীতের রাতে পূর্ণিমা কিংবা রাতের আলো-আঁধারে আকাশে অতিথি পাখির ডাকে এক ভিন্ন রকম অনুভূতির জন্ম দেয়।
দেশীয় পাখিগুলো সারা বছরই খুনসুটি, জলকেলি আর খাবারের খোঁজে এক বিল থেকে আরেক বিলে উড়াউড়ি করে মাতিয়ে রাখে এই হাওরের প্রতিটি প্রান্ত।
কীভাবে যাবেন টাঙ্গুয়ার হাওর
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ: ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে মামুন ও শ্যামলী পরিবহণের বাস সরাসরি সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং মহাখালী থেকে ছেড়ে যায় এনা পরিবহণের বাস। সুনামগঞ্জ পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লাগে।
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ: সিলেটের কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ড থেকে সুনামগঞ্জ যাবার লোকাল ও সিটিং বাস আছে। সুনামগঞ্জ যেতে দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে।
সুনামগঞ্জ থেকে টাংঙ্গুয়ার হাওর : সুনামগঞ্জ নেমে সুরমা নদীর উপর নির্মিত বড় ব্রীজের কাছে লেগুনা/সিএনজি/বাইক করে তাহিরপুরে সহজেই যাওয়া যায়। তাহিরপুরে নৌকা ঘাট থেকে সাইজ এবং সামর্থ অনুযায়ী নৌকা ভাড়া করে বেড়িয়ে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে। তবে শীতকালে পানি কমে যায় বলে আপনাকে লেগুনা/সিএনজি/বাইক যোগে যেতে হবে সোলেমানপুর। সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করে নিতে পারবেন। আর শীতকালে গেলে আপনি অতিথি পাখির দেখা পাবেন।
টাংঙ্গুয়া ভ্রমণের সতর্কতা ও কিছু পরামর্শ
- হাওর (Haor) ভ্রমণকালে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিন।
- গ্রুপ করে গেলে খরচ কম হবে। ৪-৫ জন বা ৮-১০ জনের গ্রুপ হলে ভালো।
- বজ্রপাত হলে নৌকার ছৈয়ের নিচে অবস্থান করুন।
- খাবারের অতিরিক্ত অংশ/উচ্ছিষ্ট, প্যাকেট ইত্যাদি হাওরের পানিতে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
- উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী মাইক বা যন্ত্র পরিহার করুন।
- রাতের বেলা অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো উৎপন্ন করবেন না।
- টাংগুয়ার মাছ, বন্যপ্রাণী কিংবা পাখি ধরা বা এদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে এমন কাজ থেকে বিরিত থাকুন।
- টাংগুয়ার জলাবনের কোন রুপ ক্ষতিসাধন না করার ব্যপারে সতর্ক থাকুন।
হাওরকন্যা
টাঙ্গুয়ার হাওরের কারণে সুনামগঞ্জকে বলা হয় ‘হাওরকন্যা’। ছয় কুড়ি কান্দার নয় কুড়ি বিল। কান্দাভর্তি সারি সারি হিজল, করচ আর নলখাগড়ার বন। হাওরভর্তি মাছ, জলচর পাখি। মাছ, গাছ আর পাখি—এই হলো টাঙ্গুয়ার হাওর। বিস্তৃত নীল জলরাশি। স্বচ্ছ জলে হাজারো বিচিত্র মাছের ছুটে বেড়ানো। পাখির কলকাকলি। শ্যামল লতাগুল্ম কিংবা গাছপালা। দিগন্ত ঘেঁষা সবুজ পাহাড়শ্রেণি। সূর্যাস্তের অপূর্ব রূপ। প্রকৃতির নিসর্গরূপের কী নেই সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে।
বাংলাদেশের এই প্রান্তিক জনপদে সৃষ্টিকর্তা যেন অকৃপণ হাতে বিলিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির অফুরন্ত সম্পদ, সম্ভাবনা আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য। যদি কোন সহায়তার প্রয়োজন পরে কিংবা আর কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে সাহায্য নিতে পারেন সফরসঙ্গীর 01707500505/01841497987